BDcost Desk:
ফুল উৎসবের ফ্যাশন শোতে মডেলরা সেজেছেন ফুলেল সাজে। নকশাফুল উৎসবের ফ্যাশন শোতে মডেলরা সেজেছেন ফুলেল সাজে।নানা রঙের ফুল। কোনোটা টকটকে লাল, কোনোটা নীল। তবে সব ফুলই আকর্ষণ করে মানুষকে। এই ফুলেরও আছে নিজস্ব প্রকাশভঙ্গি। লাল ফুল যেমন ভালোবাসা প্রকাশ করে, তেমনি ভাঙা সম্পর্ক জোড়া দিতে নাকি হলুদ ফুলের জুড়ি নেই। নানা রঙের ফুলের সঙ্গে থাকা মানুষের অনুভূতিগুলো যখন নেপথ্য থেকে ভেসে আসছে, মঞ্চে তখন চলছে সেই ফুলের প্রদর্শন। ফ্যাশন শোর মাধ্যমে জানানো হলো নানা রঙের ফুলের গল্পকথা। দেশে চাষ হওয়া ফুল নিয়ে গত ৩০ মার্চ রাজধানীর বাংলা একাডেমি অডিটরিয়ামে ফুল উৎসবে আয়োজন কর হয় এই ফ্যাশন শোর।
শুরুতেই টকটকে লাল গোলাপ। প্রেম-ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে এই ফুল সবচেয়ে জনপ্রিয়। সেটাই দেখানো হলো প্রথম কিউতে। এরপরের কিউ ছিল কমলা রঙের ফুল নিয়ে। তারুণ্য আর উচ্ছ্বাস প্রকাশ পায় কমলা রঙের ফুলে। সেটাই দেখানো হলো মঞ্চে। তরুণ-তরুণীরা মিলে কমলা গাঁদা ফুলের মালা, দুল ও কোমরের বিছা পরে মঞ্চ মাতালেন। এরপর হলুদ ফুলের কিউ। বুদ্ধিবৃত্তি প্রকাশ ও ভাঙা সম্পর্ক জোড়া দিতে হলুদ ফুল নাকি টনিক হিসেবে কাজ করে। অফিসে সহকর্মীকেও চমকে দিতে পারেন একগুচ্ছ হলুদ জারবেরা দিয়ে। জীবনে সজীবতা ও ছন্দ ফিরিয়ে আনতে সবুজ ফুল, প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য আকাশি রঙের ফুল হতে পারে সমাধান। এমনই আরও কয়েকটি রং নীল, বেগুনি ও সাদা ফুল নিয়ে কয়েকটি ফ্যাশন কিউতে মঞ্চে আসেন মডেলরা। ফ্যাশন শোর শেষ কিউতে সাদা গ্ল্যাডিওলাস হাতে একঝাঁক শিশুর সঙ্গে মঞ্চে আসেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সাতজন ফুলচাষি নারী। তাঁরা দেশে আগামী দিনের ফুলের সম্ভাবনার জানান দেন।
৩০ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল দেশে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করা হলো ‘বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার ফেস্ট ২০১৭’।
ইনোভেশন অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার ফর এন্টারপ্রাইজেস (আইআইসিই) ও বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি যৌথভাবে এই উৎসবের আয়োজন করে। সবার জন্য উন্মুক্ত এই উৎসবে ছিল ছোট-বড় ৪৭টি স্টল। যেখানে কয়েক শ ধরনের ফুল প্রদর্শন করেন দোকানিরা। ছিল বাউলগান, ফুলের দোলনা, টানেল (সুড়ঙ্গ), খেলনা, ফুলের গয়নাসহ নানা কিছু। ফুলের বুকে, ছাদ বাগানসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।